To Speak in English. (ইংরেজিতে কথা বলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক)
বিশ্বায়নের ট্রেনে আরােহণ করতে হলে ইংরেজি জানার কোন বিকল্প নেই। বর্তমানে চলছে ইংরেজি ভাষার বিশ্বায়ন। সুতরাং এ সময়ে ইংরেজি না জানা আর আদিম যুগে বাস করা একই কথা। আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করার পরও সঠিকভাবে ইংরেজি বলতে কিংবা লিখতে পারেন না। সত্যিই আমাদের দুর্ভাগ্য। তবে আগ্রহ, একাগ্রতা, আন্তরিকতা ও চেষ্টা থাকলে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত্ব করা খুব কঠিন নয়। এজন্য নির্দিষ্ট একটা পথ ধরে এগােতে হবে। কতকগুলাে পদ্ধতি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে ইংরেজি ভীতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
(i) Enrich Yourself with Vocabularies (শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা)
(ii) First Language, Next Grammar (আগে ভাষা পরে গ্রামার)
গ্রামার বা ব্যাকরণ একটি জটিল বিষয় । গ্রামার শিখে ভাষা শিখতে চাইলে সেটা কঠিন হবে। যেমন- দেখুন, আমরা অনেকেই কোন গ্রামারের নিয়মনীতি না জেনেও শুদ্ধভাবে বাংলা বলি । আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বাল্যকাল থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের উপর গ্রামারের বােঝা চাপিয়ে দিয়ে তাদের ইংরেজি ভীতিকে আরাে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভাষা শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী বিষয় হচ্ছে ঐ ভাষার বেশি বেশি শব্দ শেখা। তবে হ্যা, Basic কিছু গ্রামার কিন্তু জানতে হবে। গ্রামারের এ সকল নিয়মনীতি আপনার ভাষা শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না বরং সহায়তা করবে। যেমন ধরুন, বাক্যে কর্তা যদি আমি (I) , তুমি (You) বাদে অন্য কেউ হয় এবং সেটা যদি একবচন হয় তবে সে বাক্যের মূল Verb-এর সাথে "S" বা "es" যােগ করতে হয়। এ মৌলিক নিয়মটি না জানলে কিন্তু কথা বলতে গিয়ে আপনি বিবতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারেন। আসলে ইংরেজিতে কথা বলার সাবলীলতা অর্জন করতে হলে সে রকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ছােটবেলা থেকেই ইংরেজি বলার অভ্যাস করতে হবে। Spoken English বা ইংরেজিতে কথা বলার ক্ষেত্রে গ্রামারের সকল ব্যবহার জানার প্রয়ােজন নেই। সে নিয়মগুলো জানা দরকার সেগুলাে আমরা ধাপে ধাপে আলােচনা করব। ধাপগুলো মনােযােগ সহকারে পড়ুন দেখবেন আপনার ইংরেজি ভীতি কেটে গেছে।
(iii) Pronunciation (উচ্চারণ)
যে কোন ভাষায় বুৎপত্তি অর্জনের ক্ষেত্রে উচ্চারণের ভূমিকা রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্র ভেদে উচ্চারণের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যেমন আমাদের দেশে একই শব্দ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নভাবে উচ্চারণ করা হয়। সেটা যাই হােক না কেন, প্রত্যেক ভাষারই রয়েছে একটা Standard উচ্চারণ বিধি। ইংরেজির সঠিক উচ্চারণটা Native English কিংবা ছােটবেলা থেকে ঐ পরিবেশে বসবাসকারী ছাড়া অন্যদের জন্য কঠিন। তবে হ্যাঁ, উচ্চারণের ক্ষেত্রে মােটামুটি একটা Standard বজায় রাখতে হবে। আপনি যদি বাংলা মিশ্রিত ইংরেজি বলেন তাহলে সেটা সুন্দর শােনাবে না এবং অপরে সঠিকভাবে নাও বুঝতে পারে। উচ্চারণ শেখার জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হচ্ছে- বাংলা একাডেমীর English to Bengali Dictionary ব্যবহার করা অথবা মোবাইল এ্যাপ ব্যবহার করে। এখানে ইংরেজির সঠিক উচ্চারণ বাংলায় দেয়া আছে। আপনি যদি প্রতিটি শব্দ ধরে ধরে অর্থাৎ একটি শব্দের উচ্চারণ বেশ কয়েকবার বা বার বার করেন তাহলে সঠিক উচ্চারণ শিখতে পারবেন। এভাবে করলে দেখবেন অতি অল্প দিনেই আপনার ইংরেজি উচ্চারণের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।
(iv) Reading English Newspaper (ইংরেজি পত্রিকা পড়া)
ইংরেজিতে কথা বলতে হলে আপনাকে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহার জানতে হবে, নতুন নতুন শব্দ শিখতে হবে। আর এজন্য আপনাকে নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়তে হবে। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হতে পারে তবে কয়েকদিন পড়ার অভ্যাস করলে আর সমস্যা হবে না। ইংরেজি পত্রিকা ভালােভাবে বােঝার জন্য আপনাকে একটু সচেষ্ট হতে হবে। যেমন- যদি ইংরেজি পত্রিকা পাঠের ক্ষেত্রে আপনি একেবারেই নতুন হন তাহলে প্রথমেই পত্রিকার সকল কথা বুঝতে চাওয়া ঠিক হবে না। প্রথমে হেডলাইন পড়ুন। তারপর যে কোন একটা সংবাদ পুরােটাই পড়ুন। দুই দিনে দেখা যাবে আপনি সকল শব্দের অর্থ না জানলেও সংবাদের মূল কথা বুঝতে পারছেন। এবার যে সকল শব্দগুলাে নতুন মনে হয় সেগুলাে Underline করে রাখুন। পরে বা সময় থাকলে তখনই সেগুলাে নােটবুকে তুলে নিন। এবার ঐ শব্দগুলাে ধীরে ধীরে আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন। এভাবে ক’দিন চর্চা করতে থাকলে একসময় দেখবেন পত্রিকায় আপনার অজানা শব্দ আর খুব একটা আসছে না। তবে হ্যাঁ, এজন্য আপনার একাগ্রতা থাকতে হবে। প্রথম প্রথম কয়েকবার Dictionary খুঁজে শব্দার্থ বের করতে গিয়ে বিরক্ত হলে চলবে না। আন্তরিকতা আর চেষ্টা থাকলে সহজেই আপনি ইংরেজিতে কথা বলার বা ইংরেজি বােঝার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।
(v) Make a Habit of Speaking in English (অধিক হারে ইংরেজি বলার অভ্যাস করা)
(vi) Enjoying English Programme (ইংরেজি অনুষ্ঠান উপভােগ করা)
(vii) Think Everything in English (সার্বিক ভাবনার ইংরেজিকরণ)
কেউ কেউ হয়তাে ভাবছেন ভাবনার আবার ইংরেজিকরণ কি? হ্যাঁ, ইংরেজিতে পুরােপুরি দক্ষতা অর্জন করতে হলে আপনার ভাবনারও ইংরেজিকরণ করতে হবে। যখন একাকী থাকেন নিজের ভাবনাগুলাে ইংরেজিতে প্রকাশ করুন। তাছাড়া প্রতিদিন আপনার ভাবনাগুলাে ডায়েরীতে লিখতে পারেন। এভাবে লিখলে আপনার দুর্বলতা বুঝতে পারবেন। ধরুন, আপনি একটি বাক্য লিখবেন কিন্তু শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। ডায়েরী লিখতে গিয়ে আপনি ঐ নতুন শব্দটির অর্থ ও ব্যবহার শিখতে পারবেন। এভাবে লিখলে আপনার ইংরেজি ভীতি কেটে যাবে, সাহস পাবেন। বাবা বলতেন, যতদিন না তুমি ঘুমের ভেতর ইংরেজি বলবে কিংবা ইংরেজিতে স্বপ্ন দেখবে, ততদিন বুঝতে হবে তুমি ইংরেজি শিখতে পারবে না। রাস্তা দিয়ে হাটছেন মনে মনে কোন কথাটা ইংরেজিতে কিভাবে বললে ভালাে হয় নিজে clear করতে না পারলে অন্য কারাে সাহায্য নিন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ইংরেজি বলার দক্ষতা বেড়ে গেছে। ইংরেজিতে কথােপকথনের জন্য উপরােক্ত পদ্ধতিগুলাে অনুসরণের সাথে সাথে আমাদের এই সাইটে চোখ রাখলে অতি অল্প সময়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আর দেরী নয়, এখনই শুরু করে দিন আপনাদের সফলতাই আমাদের সার্থকতা।
এরপর থেকে আপনারা এখানে পূর্ব অনুসারে এর নিয়ম গুলো পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
1 Comments
Great
ReplyDelete